- মনসান্তোর জিএমও কারসাজি
- আমাদের এখনকার সংকট
- আওয়ামি লিগের ইতিহাসও পারিবারিক ইতিহাসে পর্যবসিত হয়েছে...
- বাংলাদেশে 'নিউকনি' সিপাই
- রাষ্ট্রপ্রধান ও উচ্চ আদালত নিয়ে রাজনীতি
- রোকেয়া পাঠের স্থান কাল পাত্র
- গণতান্ত্রিক বিপ্লবের তিন লক্ষ্য
- মোদীর ভারত এবং বিশ্ব শক্তির ভারসাম্য বদল
- দেখলেই গুলি?
- আদালতের কর্তৃত্ব ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
ভাসানী, রবুবিয়াত ও নতুন বিপ্লবী রাজনীতি
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে বাংলাদেশের উদয়, বেড়ে ওঠার ইতিহাস এবং উপমহাদেশের জনগনের লড়াই সংগ্রাম থেকে যেভাবে মুছে ফেলা হয়েছে সে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির পুনর্গঠনের প্রশ্ন মওলানা ভাসানীকে নতুন ভাবে জানা, পড়া ও চর্চায় নিয়ে যাবার ওপর নির্ভরশীল। এই পরিপ্রেক্ষিত মনে রেখে মওলানা ভাসানী সম্পর্কে লেখাগুলোর পাঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গঠনের গলদ, গণতন্ত্র ও এখনকার কর্তব্য
বাংলাদেশের রাষ্ট্র, রাজনীতি, আইন ও বিচারব্যবস্থার গোড়ার গলদ হচ্ছে শুরু থেকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা ও গঠন করা যায় নি। মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু ও সংঘটিত হয়েছিল একাত্তরের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে -- যার ঘোষিত ও লিখিত মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার বা ইনসাফ কায়েম ও চর্চার উপযোগী গণমানুষের রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু ডান কি বাম প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা ধারা মুক্তিযুদ্ধ ও গণমানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গণশক্তির বিকাশ ও বিজয় ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক বিপ্লবই অসমাপ্ত যুদ্ধ সম্পন্ন করতে পারে, এটাই এখনকার রাজনৈতিক কাজ। এদেশের সকল মানুষের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, আচার, লোকায়ত জ্ঞান ও ভাবুকতা সবই রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে গড়ে ওঠার আন্তরিক ও ঐতিহাসিক উপাদান। কিন্তু গণ ঐক্য ও গণশক্তি বিকাশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারা ধর্মের নামে, ধর্ম বিরোধিতার নামে কিম্বা বাস্তবতা বিবর্জিত নানান আসামানি মতাদর্শের দোহাই দিয়ে জনগণকে বিভক্ত ও আশু রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন ও কর্তব্য পূরণের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে তারাই -- ডান কিম্বা বাম -- জনগণের শত্রু।
- চতুর্থ সংশোধনীতে হারানো ক্ষমতা সামরিক আইনে ফিরে পাওয়ার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছে আদালত
- আইনের শাসনের তামাশা ও বাকশাল ‘দর্শনের’ জের
- আদালত অবমাননার বিচার ও দণ্ড প্রসঙ্গ
- ‘কমিউনিস্ট’দের রিমান্ড সমস্যা
- হাসিনার কনস্টিটিউশন সংশোধন: আসলে কি হতে যাচ্ছে?
- সংজ্ঞাহীন অবারিত এখতিয়ার বন্ধ হবে কবে?
- ছয় বছরেও চূড়ান্ত হয় নাই আদালত অবমাননা আইন
বাংলার ভাবসম্পদ
লালন ও ভাবান্দোলন
চিনিয়ে দেওয়া, ধরিয়ে দেওয়া
এই পাতায় পড়ছেন নারী প্রশ্ন সংক্রান্ত লেখা
জার্মানির কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেৎকিনের (৫ জুলাই ১৮৫৭ -- ২০ জুলাই ১৯৩৩) প্রস্তাবে মার্চের ৮ তারিখ 'আন্তর্জাতিক নারী দিবস' হিসেবে ১৯১১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। এটির শুরু আদিতে 'আন্তর্জাতিক নারী শ্রমিক দিবস' হিশাবে। এর পেছনে রয়েছে শতাব্দি জুড়ে শ্রমিক আন্দোলন এবং নারীপুরুষ নির্বিশেষে পুঁজির শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবার অদম্য তাগিদ। তিনি প্রধানত নারীবাদী হিশাবে এখন অধিক পরিচি
আজকের আন্তর্জাতিক নারী দিবস শ্রমিক নারীর সংগ্রামের ফসল। লাল সালাম। আজ নারী অনেক এগিয়েছে, সমাজের সর্ব স্তরে নারীকে দেখা যাচ্ছে; তারা সবাই মিলে পালন করছেন মার্চের ৮ তারিখ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটি একসময় ছিল শুধু নারী সংগঠনের এবং নারী শ্রমিক সংগঠনের নিজস্ব পালনের দিন। এখন তা হয় রাষ্ট্রীয় ভাবে, যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন এবং বক্তৃতা করেন। জাতিসংঘ ঘোষিত দিন
সম্প্রতি ‘নারীর প্রতি কটূক্তি’ করার কারণে সমাজের প্রভাবশালী একটি অংশ হঠাৎ ভীষণ রকম সক্রিয় হয়েছে। ফলে নারীর প্রতি যিনি কটূক্তি করেছেন, তার বিরুদ্ধে দ্রুত বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জামিনযোগ্য হলেও আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চলছে, কথা বলা, সভা-সমাবেশের অধিকার গায়েব হয়ে গেছে। ম
মানুষ কে যে কোন একসময় সকল কর্মের হিসাব দিতে হয়; এটা জীবনের এমন এক অকাট্য সত্য যা নানান জাতির নানান ভাষায় প্রবাদ বাক্য হয়ে টিকে আছে। ইংরেজিতে বলে ' As you sow, so you reap' । খুব সম্ভবত বাইবেলের Old Testament থেকে উদ্ভূত। ইসলাম ধর্মে একে বলে ‘আমলনামা’ আর হিন্দু ধর্মে বলে ‘কর্মফল’। কর্মফলে বিশ্বাস করতে গেলে, আস্তিক হতে হবে কিম্বা বেহেস্ত-দোজখে বিশ্বাস করতে হবে, এমনটির প্রয়োজন নাই। নিউটন এই প্রাকৃ
ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘বিপুল’ ভোটে জয়ী হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে। সারা বিশ্বের মিডিয়াতে এই অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে। বিশাল সমাবেশ হয়েছে তার এই শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে। এটা নিয়ে লেখার কোন কিছু ছিল না, কিন্তু একই দিনে ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্যান্য শহরে যতো প্রতিবাদী সমাবেশ হয়েছে, সেটা নতুন বিষয়। নতুন ঘটনা। ট্
আজ ২৩ মে সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে সবার শ্রদ্ধেয় ‘নূরজাহান আপা’ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
সকল বয়সের নারীদের কাছেই তিনি ছিলেন নূরজাহান আপা। বাইরে তাঁর পরিচয় উপমহাদেশে প্রথম নারীদের পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে। পত্রিকার নাম ‘বেগম’। এই পত্রিকাটিকে বলা যায়, প্রথম ও একমাত্র সচিত্র নারী সাপ্তাহিক। তাঁর বাবা মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন সওগাত পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, মেয়েকে দিয়
নেপাল আমাদের একটি অতি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। প্রাকৃতিকভাবেও আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীরে - হিমালয় থেকে বরফ গলে পানি আমাদের নদ নদী পার হয়ে গড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে। কাজেই এখানকার যে কোন পরিস্থিতি আমাদের ভাবায়, আমাদের আন্দোলিত করে। নেপালে যখন ভুমিকম্প হয়েছিল তখন বাংলাদেশও কেঁপে উঠেছিল কয়েকবার। অন্যদিকে আমাদের আর একটি প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে ভারত; যা আমাদের তিনপাশ ঘিরে আছে। সম্
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করি
প্রথমেই বলে রাখি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি আমি সমর্থন করি। এমন দাবীর সাথে দেশের মেডিকেল শিক্ষার পুরো ভবিষ্যত জড়িত। একটা পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা হয়ে গেছে বলে আবার পরীক্ষা নেয়া যাবে না এমন কথা যারা বলছেন আমি তাদে্র সাথে একমত নই। শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীরা ঢুকল
একজন নয়, দুইজন নয় অনেক নারী একত্রে বিবস্ত্র ও শ্লীলতাহানীর শিকার হয়ে এবারে নতুন বছর শুরু হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, টিএসসি এলাকায়, রাজু ভাস্কর্যের কাছাকাছি। এখানে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অনেক আয়োজন ছিল, তাই জনগণের ভিড় ছিল। ঢাকাবাসীরা নিরাপত্তা দেয়া আছে জেনে পরিবার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে নারীদের
[রোকেয়াকে নিয়ে এই লেখাটি ২১ বছর আগে ১৯৯৩ সালে সাপ্তাহিক ‘রোববার’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। লেখাটি নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা থেকে প্রকাশিত ‘রোকেয়া পাঠের স্থান, কাল পাত্র ও বোরকা’ পুস্তিকাটিতেও অন্তর্ভূক্ত। ডিসেম্বরের নয় তারিখে রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুদিবস পেরিয়ে এসেছি আমরা আবার; সেই উপলক্ষে লেখাটি এখানে আবার দুই একটি জায়গায় খানিক পরিমার্জনা করে তুলে দেওয়া হোল।
তোবার আন্দোলনকারী ও অনশনরত শ্রমিকদের নির্মম নির্যাতন করে যেভাবে পুলিশ তোবা গার্মেন্ট ফ্যাক্টরী ‘মুক্ত’ করলো তার বিস্তারিত বর্ণনা গণমাধ্যমে এসেছে। নারী আন্দোলনের কর্মীদের তা প্রচণ্ড বিক্ষুব্ধ করেছে, তা বলাই বাহুল্য। নির্যাতনের বর্ণনা বিভিন্ন পত্রিকায় দেয়া আছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবার সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের নেত্রী মোশরেফা মিশু সাংবা
এক
হেফাজতে ইসলাম এপ্রিলের ৬ তারিখে ঢাকা শহরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে প্রশাসনের সঙ্গে ওয়াদা অনুযায়ী ঠিক ঠিক পাঁচটার সময় শেষ করে ফিরে গেছেন। ঢাকা শহরের মানুষ শাপলা চত্বরে এতো আলেম ওলামাদের একসাথে কখনো দেখে নি, তারা বিস্মিত। কত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন তা নিয়ে সঠিকভাবে কোন পরিসংখ্যান না পাওয়া গেলেও সংখ্যাটা তাক লাগিয়ে দেয়ার মতোই ছিল।
ঢাকার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে নারী কন্ঠ সোচ্চার।কখনো গণজাগরণ মঞ্চ থেকে কখনও ছোট ছোট দলে জোরালো কন্ঠে শ্লোগান তুলে হাজার হাজার মানুষকে উদ্বেলিত করেছেন কয়েকজন তরুণী, এটা অবশ্যই চোখে পড়ার মতো এবং ভাল। অনেক তরুণও শ্লোগান দিয়েছেন, কিন্তু তাদের কথা তেমন কেউ বলাবলি করছে না, কারণ মিডিয়া নারীকেই তুলে ধরতে চেয়েছে।এটা ঠিক এই নারীরা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলে গলা ফাটালেও এতো
সম্প্রতি নারী নির্যাতন, বিশেষ করে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা যেন মহামারীর আকার ধারণ করেছে। সবশেষ ঘটনা মাত্র ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা। করেছে এমন একজন যে এই একই শিশুকে ধর্ষণ করার কারণে জেল খেটে জামিনে ছাড়া পেয়েছে।
এগুলো কিসের আলামত? যে দেশে একটি শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নাই, সে দেশের আর কী থাকে? ধর্ষিত শিশুটি যে বয়সের তাকে নারী বলাও যায় না। যে বয়সে সামাজিকভ
সামাদ ভাই যেন হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, কিন্তু তাঁর দরাজ গলার হাসি এবং কথা বলার বিশেষ ভঙ্গি আমাদের কানে বাজতেই থাকবে।সামাদ ভাইয়ের অনেক সাংবাদিক ছাত্র-ছাত্রী আছেন, আমার সে সৌভাগ্য হয় নি। কিন্তু আমি তাঁকে যেভাবে দেখেছি, এবং তাঁর কাছ থেকে যে উপকার পেয়েছি আজ সে কথা না বললে বড় অপরাধ হবে। না, সেটা ব্যাক্তিগত উপকার নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কিভাবে দিতে হয় এবং তার জন্য কিভাবে
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য প্রথম প্রকাশ। এছাড়াও আরো দুটি কবিতার বই নতুন করে সংস্করণ করা হয়েছে। (১) অসময়ের নোট বই। (২) কবিতার বোনের সঙ্গে আবার। সাহিত্য ও কবিতা পাঠক প্রেমিকদের ধন্যবাদ।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকাশক ফরহাদ মজহারের বই প্রকাশ করেছেন। আগ্রহী পাঠকদের সুবিধার জন্য এখানে কয়েকটি বইয়ের পরিচিতি দেওয়া হোল।
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সহযোগী গণমাধ্যম নিপাত যাক
সম্প্রতি ফরহাদ মজহারের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃতি ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার একটি ক্ষুদ্র সাংবাদিক গোষ্ঠি মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে ও থানায় জিডি দায়ের করে। বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ফরহাদ মজহারের নিরাপোষ লড়াই কারোরই অজানা নয়। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে ফরহাদ মজহারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে দমন, পীড়ন ও নির্যাতনের জন্য এই গোষ্ঠি তাদের সকল শক্তি নির্লজ্জ ভাবে নিয়োগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে এদের সন্ত্রাস, সহিংসতা ও জিঘাংসার যে-চেহারা ফুটে উঠেছে তা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য চিরকাল কলংক হয়ে থাকবে।
এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, রাজনৈতিক কর্মীসহ সকল স্তরের পেশার মানুষ এক্ত্রিত হয়ে 'আক্রান্ত গণমাধ্যম ও সংকটের আবর্তে দেশ' শিরোনামে একটি গোলটেবিলে একত্রিত হয়। তাঁরা সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিন্দা জানান। এখানে সেই প্রতিবাদ সভার কিছু ছবি ও উপস্থিত নাগরিকদের বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে। এ সভার মূল লক্ষ ছিল মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করা এবং চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
সংবাদ-এলবামে প্রবেশের জন্য ওপরের ছবির ওপর ক্লিক করুন; বক্তব্যের জন্য খোলা-এলবামে প্রত্যেক বক্তার ছবির ওপর ক্লিক করুন। ট্রান্সক্রিপশান সময় সাপেক্ষ বলে ধীরে ধীরে তোলা হচ্ছে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়তে হলে দয়া করে নীচের সংযোগচিহ্নে যান
আমার দেশ: গোলটেবিল বৈঠকে ফরহাদ মজহারের পাশে বিশিষ্টজনরা : প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই সঙ্কট মোকাবিলায় একমাত্র সমাধান : আমার দেশসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিন
চিন্তার সাম্প্রতিক সংখ্যা
পুরানো 'সন্ত্রাস' সংখ্যা। বছর ১৪ সংখ্যা ১, নভেম্বর ২০০৫ / অগ্রহায়ন ১৪১২। সম্পাদকীয়। দেরিদা, হাবারমাস এবং সন্ত্রাসকালে দর্শন -- জিওভান্না বোরাদরির সঙ্গে আলাপ। সন্ত্রাস, আইন ও ইনসাফ। বলপ্রয়োগ বিচার। সন্ত্রাসবাদের হকিকত। আধুনিকতায় ক্ষমতা এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের পুনর্গঠন। বিশ্ববাণিজ্য চুক্তির সন্ত্রাসঃ হংকং সভা। বীজ ও নারী বিপন্ন যমজ। মান্দিদের জীবন। নাখোজাবাদ বুলেটিন। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ৪র্থ সার্ক পিপলস ফোরাম। স্পেকট্রাম গার্মেণ্ট ও শ্রমিক হত্যাকাণ্ড।
চিন্তা পুরানা সংখ্যা
পাক্ষিক চিন্তার পুরানো কয়েকটি সংখ্যা। এর বেশ কয়েকটি এখনও পেতে পারেন। যোগাযোগ করুন, পাক্ষিক চিন্তা, ২২/১৩ খিলজি রোড, মহাম্মদপুর, ব্লক-২। শ্যামলী। ঢাকা-১২০৭।
ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
- ১. দর্শনের ভাষা বা বুদ্ধির ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব
- ২. পর্যালোচনা মানে সমালোচন বা বিরোধিতা নয়
- ৩. ধর্মে কি কোন চিন্তা নাই
- ৪. উপলব্ধি, বুদ্ধি ও সংবেদনা
- ৫. নফি ও এজবাত
- ৬. ধর্মবিরোধীদের কবল থেকে মার্কসকে উদ্ধার একালে জরুরী
- ৭. হজরত সোলায়মান ও ফয়েরবাখ
- ৮. দ্বান্দ্বিক চিন্তার পর্যালোচনা
- ৯. মানুষের নিজের কাছ থেকে নিজের বিযুক্তি
- ১০. ধর্মের প্রতি তত্ত্বীয় দৃষ্টিভঙ্গীর সীমাবদ্ধতা
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
দর্শনের দিক থেকে ধর্মভাবনা মানুষের চেতনা বা চিন্তারই বিশেষ রূপ। এই বিশেষ রূপের বিচার ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচার দিয়ে নিষ্পন্ন হয় না, তার বিষয় ও পদ্ধতি আলাদা। ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচারের গুরুত্ব আছে বটে, কিন্তু সেটা দার্শনিক বিচার নয়। সক্রিয় ও সজীব চিন্তা ধর্মভাবনায় নিজেকে যে রূপে হাজির দেখে দর্শনের স্তরে একই রূপে হাজির না দেখলেও এই দাবি জানাতে কুন্ঠিত হয় না যে “দর্শনের বিষয় সামগ্রিক ভাবে বিচার করলে ধর্মেরই বিষয় – উভয় ক্ষেত্রে সেটা হোল, সত্য। কথাটা এই চূড়ান্ত অর্থে যে আল্লাহ এবং একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সত্য। তাই উভয়েই প্রকৃতি ও মানুষের এই সীমিত জগতকে পরস্পরের সম্পর্ক এবং তাদের সত্য আল্লার সত্যে বিচার করে”। কথাটি জর্মন দার্শনিক গেঅর্গ ভিলহেল্ম হেগেলের (১৭৭০-১৮৭১)। সত্য বলতে হেগেল কি বুঝতেন এই ঘোষণায় তা আমরা আন্দাজ করতে পারি। আল্লার সত্য নির্ণয়ের আকুতির মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকৃতি ও মানুষের সীমিত জগতের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মানুষের সম্ভাবনা বিচার করে -- আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক, নীতি-নৈতিকতা ও রাষ্ট্র হেগেল কিভাবে বিচার করেছেন তার ইঙ্গিতও এই অল্প কথার মধ্যে আমরা টের পাই।
সত্য শুধু বিশুদ্ধ বুদ্ধির নির্ণয় নয়, বরং মানুষ তার ইন্দ্রিয়পরায়ণ তৎপরতার পরিমণ্ডলে যে সত্য 'উপলব্ধি' করে সেখানেও চিন্তা বা বুদ্ধির কারবার হাজির থাকে, তবে আত্মসচেতন চিন্তা হিসাবে নয়। সে কারণেই একে আমরা কাঁচা ইন্দ্রিয়োপলব্ধি বলি, বুদ্ধি যে কাঁচামাল থেকে জ্ঞান উৎপাদন করে। ইন্দ্রিয়োপ্লব্ধির সত্য বুদ্ধি তার নিজের স্বরূপে কিম্বা নিজের পরিমণ্ডলে কিভাবে প্রকাশ করবে হেগেলের দর্শনের সেটাই ছিল প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে সকল বৃত্তির সামষ্টিক উদ্যোগ বা প্রণোদনা থেকে মানুষ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, বুদ্ধি সেই সত্য নিজের স্বরূপে আদৌ ধারণ বা প্রকাশ করতে পারে কিনা সেটা দর্শনে এখনও বড়সড় তর্ক হয়ে রয়েছে। ধর্মের পর্যালোচনা সেই তর্ককে সক্রিয় ও সজীব চিন্তার নিজের সমস্যা হিসাবে বুঝতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। যে কারণে 'ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম' নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার প্রকট লড়াই জারি রয়েছে। বলাবাহুল্য, এই আলোচনা সেই বাস্তবতার বাইরে নয়। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠি, সম্প্রদায়, শ্রেণি এবং বিভিন্ন শারিরীক চিহ্নে ও শারিরীক বাসনায় বিভক্ত জগতে সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের লড়াইও নানা কারনে অনিবার্য বটে, কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার লড়াই আর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় মানুষের চিন্তার সংকট মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলামের সম্ভাব্য অবদান বিচার সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ইসলাম শুধু মুসলমানদের জন্য নাজিল হয় নি, ফলে তা মানুষের চিন্তার ইতিহাস ও দর্শনেরও বিষয়। এই অনুমান থেকে লেখাগুলো পাঠ করলে পাঠক উপকৃত হবেন আশা করি।
- See more at: http://chintaa.com/index.php/network/index/bangla#sthash.OYNrOjTu.dpuf